রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি করণীয় - রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়

অপনারা কি জানতে চাচ্ছেন রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি কি সমস্যা হয়?আজকের এই পোষ্টটি তাহলে আপনার জন্য।রক্তের হিমোগ্লোবিন শেষ হয়ে গেলে কি সমস্যা হতে পারে এবং রক্তের হিমোগ্লোবিন শেষ হয়ে গেলে আমাদের করণীয় কি এর সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের এই পুরো আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।


রক্তের হিমোগ্লোবি কমে গেলে আপনাদের করণীয় কি এবং রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে এই সকল বিশেষ সম্পর্কে নিচে আমরা আলোচনা করেছি। এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে নিচের সকল বিষয় সম্পর্কে পড়ে নিন। তাহলে রক্তের হিমোগ্লোবিন ফুরিয়ে গেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক রক্তের হিমোগ্লোবিন শেষ হয়ে গেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে।

পেজ সূচিপত্রঃরক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধঃ

জদি আমাদের শরীরে খুব বেশি পরিমানে হিমোগ্লোবিন এর পরিমান কমে যায় তা কি ঔষধ খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিন এ মাত্রা বাড়ানোর জন্য অতি তাড়া তাড়ি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা খুবই জরুলী।ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলে ডাক্তার সাহেব আপনার শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য অনেকগুরো টেষ্ট দিতে পারে।

আরও পড়ুণঃমেয়েদের মেছতা দূর করার উপায়

ডাক্তারের দেওয়া অনেকগুলো টেস্ট পরীক্ষা করার পর সেগুলো রিপোর্ট ডাক্তার সাহেব দেখে, শরীরে হিমোগ্লোবিন কিভাবে বাড়বে, কি করলে শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কি কি খাবার খেলে শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবি স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা যাবে। এগুলো বিষয় সম্পর্কে ডাক্তার সাহেব ওষুধ দিবেন বা তার উপায়গুলো বলবেন।বাড়িতে রোগিকে কি কি খাবার নিয়োম মাপিক খাওয়া লাকবে তার একটা লিষ্ট দিতে পারেন।

রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য প্রায় ডাক্তার সাহেবরা একটি ওষুধ দিয়ে থাকেন সেটি হলো বায়োফানজিন। এর বায়োফেনজিন ঔষধ টি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য খুব উপকারী একটি ওষুধ। এই বায়োফেনজিন খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিন। নিচে এই বায়োফেনজিন ঔষধ খাওয়ার নিয়ম গুলোর তালিকা দেওয়া হলোঃ

  1. ঔষধ সেবনের আগে মুখে প্রায় কিছওক্ষণ রাখতে হবে।ঔষধটি সেবনের পর জদি উন্নতি হয় তাহলে ঔষধটি খওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
  2. বচ্চাদের জন্য খাবারের আগে না হলে পরে ১ চামচ করে দিনে তিন বেলাই সেবন করতে হবে।
  3. যারা যারা বয়োস্ক মানুষ আছেন তারা ২ চামচ খবেন দিনে তিন বেলাই।

হিমোগ্লোবিন কমার লক্ষনঃ

এখন প্রায় লক্ষ করা যাচ্ছে দেশে বেশির ভাগই মেয়েদের রক্তাল্পতার সমস্যা বেশি বাড়ছে।লক্ষ করা যায ভারতীয়দের পুষ্ঠির পদার্থের খুবি অভাব। এ সকল প্রসাদের মধ্যে একটি হলো আয়রন। এখন প্রায় সারা দেশে নারীরা উত্তেজকভাবে রক্তালল্পতার সমস্যায় ভুগছেন।এখন প্রায় শুদু মেয়েরাই নয় পুরুষেরাও এই সমস্যায় ভুকছেন।ডাক্তারদের কথায় এর নাম দেওয়া হয়েছে আ্যনিমিয়া।

এ সকল রোগের হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন,খনিজ,শর্করা আরো বিভিন্ন রকমের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া উচিত। আমাদের শরীরে যতটুকু পুষ্টি বা ভিটামিনের দরকার আমরা তা খাদ্যের মাধ্যমেই শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে পারি।কোন সময় জদি আমাদের শরীরের রক্ত সাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে আনেক বেশি কমে যায় তাহলে বুজবো শরীরের রক্তাল্পতা হয়েছে।

আরও পড়ুণঃপলাশীর যুদ্ধের কারণ - পলাশীর যুদ্ধের ২টি কারণ

পুরুষের ক্ষেতে রক্তের লোহিত কণিকা হল ১৩. ৮ থেকে ১৭.২ গ্রাম এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে লোহিত কনিকা হল ১২.১ থেকে ১৫.১ গ্রাম হয়। আমরা প্রায় সময় লক্ষ্য করে থাকি ভারতীয়দের পোস্টটি দেয়ক পদার্থের পরিমাণ অনেক কম ভারতীয়দের অন্যতম হলো আয়রন। মানুষের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যায় যখন মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত রক্তকণিকা থাকে না।

হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি কি করা উচিতঃ

আমাদের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে আমাদের যে সকল কাজ করা উচিত তার নিচে উল্লেখ করা হলো। পুরুষের চেয়ে নারীরাই এই রক্তের হিমোগ্লোবিন সমস্যায় ভুগেন। মানুষের শরীরে অনেক বেশি রক্তের অভাব দেখা দিলে এই রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যায়। রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা,শ্বাসকষ্টের সমস্যা,ক্লান্তি আরো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আমাদের শরীরে যদি লোহিত রক্ত কণিতা অনেক বেশি কমে যায় তখনই হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা দেখা দিতে পারে।এ কারনে শরীরের অক্সিজেন ও কমতে থাকে। শরীরে যদি ভিটামিন বি এর ঘাটতি থাকে তাহলে শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিনো কমতে থাকে। এদিকে মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় জদি অনেক বেশি রক্ত চাপ হয় তাহলে হিমোগ্লোবিন সঠ হওয়ার ঝুকি বেশি থাকে।

এই কারনে মহিলাদের উচিত আয়রণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।প্রতিনিয়ত খাওয়ার সময় ডাল, কলা, মটরশুটি, শাকসবজি আরও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়া হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ যদি বাড়াতে চান তাহলে ডক্টর সাহেবের সাথে পরামর্শ করুন এবং ডাক্তারের নিয়ম মাফিক চলুন। তার পাশাপাশি আমাদের ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন কমলা লেবু, আঙ্গুর,পেঁপে ইত্যাদি খেতে হবে।

হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারেঃ

যে সকল খাবার খেলে শরীরের হিমোগ্লোবিন বেড়ে যায় তা সম্পর্কে জানুন। মানুষের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন শর্ট হয়ে গেলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমনঃ হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা,মাথা ব্যাথা,আরো ইত্যাদি ধরনের সমস্যা হতে পারে। শরীরে যদি এ সকল ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অতি তাড়াতাড়ি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।

এ সকল রক্তের হিমোগ্লোবিন শর্ট হয়ে গেলে এর কারণে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার সাহেব বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিতে পারে আর এ সকল পরীক্ষার পর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি কম থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের চলাফেরা করতে হবে। ডাক্তার সাহেবের কাছে যাওয়ার পূর্বে যে সকল খাবার খেলে আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিন বাড়তে পারে সে সকল খাবার গুলোর নাম জেনে নিন।

বিভিন্ন ফলমুলঃ ভিটামিন সি জাতীয় ফল মূল্য যেমনঃকমলালেবু,আম, কাচ্চি লেবু ইত্যাদি ফলমূল আমাদের খেতে হবে। আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব দূর করার জন্য বেশি বেশি আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। আমরা যদি এই সকল ফলমূল খেয়ে থাকি তাহলে হিমোগ্লোবিনের উৎপন্ন বাড়তে থাকবে।

সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছ থাকে অনেক বেশি পরিমাণে আয়রন। যা খেলে আমাদের শরীরের আয়রনের অভাব দূর করতে পারে। আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিনের অভাব দূর করতে হলে সামুদ্রিক কাঁকড়া, চিংড়ি, ইলিশ এই ধরনের মাছ খেতে হবে। এতে আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিনের অভাব দূর করতে পারে।

সবুজ শাকসবজিঃ প্রতিনিয়ত আমাদের বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাওয়া উচিত যেমনঃ পুঁইশাক, লাল শাক, ডাটা জাতীয় শাক আরো ইত্যাদি ধরনের শাক আছে তা আমাদের বেশি বেশি খাওয়া উচিত এতে রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করে।

রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির উপায়ঃ

মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশের মধ্যে হলো রক্ত। এই রক্ত মানুষের শরীরে জ্বালানি স্বরূপ হিসেবেও কাজ করে। মানব দেহের রক্ত অক্সিজেনের অভাব দূর করে এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানও দূর করে থাকে। মানুষের শরীরে যদি রক্তের অভাব থাকে তাহলে সর্বসর ভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আমাদের রক্তের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রক্ত কণিকা, প্লাটিলেট, লাল রক্ত কণিকা। মানুষের শরীরে লাল রক্তকণিকাতে  রয়েছে বিভিন্ন রকমের আয়রন।

এই রক্ত বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থ দিয়ে গঠিত। আমাদের শরীরে প্রায় আট ভাগ রক্ত থাকে প্রায় মানুষের শরীরে ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত আছে।ডাক্তারের ভাষায় রক্তের হিমোগ্লোবিন কে অ্যানিমিয়া বলে ডাকা হয়। লাল রক্ত কণিকা যদি মানবদেহের অনেক বেশি কমে যায় তাহলে অ্যানিমিয়া রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

আর এ সকল রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত ফলমূল, শাকসবজি, সামুদ্রিক মাছ আরো ইত্যাদি নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। আর এ সকল খাবার খেয়েও যদি শরীরের হিমোগ্লোবিন পূরণ না হয় তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিয়মাবলী চলাফেরা করতে হবে।

রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়-শেষ কথাঃ

রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে আমাদের যে সকল করণীয় তা ওপরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আমরা এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আশা করি আপনারা এই সকল নিয়মাবলী মেনে চললে আপনাদের শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিনের কোন সমস্যা হবে না।

আমাদের এ আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের কাছে বেশি বেশি শেয়ার করে দিন এবং এরকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো রাখুন এবং সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ফ্রিল্যান্সারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url